মেয়র ক্লিটসকো বলেন, ‘আমরা বের হতে পারছি না। কারণ সব পথ অবরুদ্ধ। এই মুহূর্তে আমাদের ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার সেনারা।’
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ঘিরে ফেলেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এ শহর থেকে কারোরই বের হওয়ার এখন কোনো পথ নেই। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো রোববার বার্তাসংস্থা এএফপিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রাশিয়ার সেনা সদস্যরা কিয়েভ ঘিরে রেখেছে। এই মুহূর্তে তারা অবরুদ্ধ। সাধারণ নাগকিরদের কিয়েভ থেকে অন্য কোথাও নেয়ার পরিকল্পনা আছে কি না- এমন প্রশ্নে মেয়র ক্লিটসকো বলেন, ‘আমরা এটা করতে পারছি না। কারণ সব পথ অবরুদ্ধ। এই মুহূর্তে আমাদের ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার সেনারা।’
রাতের আঁধার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী বাসীদের জীবন নিয়ে বাড়ছে আশঙ্কাও। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পাওয়া যাচ্ছে শব্দ। এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে কিয়েভবাসী।
গত কয়েকদিন ধরেই অবশ্য এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখী হচ্ছে কিয়েভ। যে কোনো সময় ঘটতে পারে প্রাণহাণির ঘটনা। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ভবন-স্থাপনাসহ নানা স্থান।
রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে লড়ে দেশ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন ইউক্রেনের সেনারা। যুদ্ধে নেমেছেন অনেক বেসামরিক নাগরিকও। এমন প্রেক্ষাপটে কিয়েভে জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা।
সীমান্তে কয়েকদিন ধরে টানা উত্তেজনার পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের হামলা শুরু করে রাশিয়া। প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইউক্রেনও।
যুদ্ধের প্রতিবাদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তবে এতে কার্যত রাশিয়াকে ফেরানোই যাচ্ছে না। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সর্বশেষ হুমকি দিয়েছেন পারমাণবিক অস্ত্র হামলার। সেনাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সুইডেনসহ কেউ কেউ ইউক্রেনকে অস্ত্রসহ নানা সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে। আর্থিক সহায়তা ও চিকিৎসা সরঞ্জামও পাঠাচ্ছে কোনো কোনো দেশ।
সর্বশেষ বেলারুশের সীমান্তবর্তী শহরে মস্কোর সঙ্গে ইউক্রেনের বসার একটি খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে সে পথ এখনও অনেকই দূরে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।